রাজারহাটে ভারী বৃষ্টিপাতে জনজিবন বিপর্যস্ত, একদিনে ১৫৭মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত:
শনিবার(৫অক্টোবর) কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতে জনজিবন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে কাঁচা পথঘাট কদমাক্ত হয়ে মানুষজনের চলাচলে বিঘিœত হয়ে পাড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন। অতিরিক্ত ভারি বর্ষনের কারণে উপজেলার নি¤œাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অনেক পুকুর তলিয়ে গিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। এছাড়া ভারী বর্ষণের ফলে সবজিক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। সব মিলে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শনিবার (৫অক্টোবর) বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত এ উপজেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পযবেক্ষনাগারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় এ জেলায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরও প্রায় এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রাজারহাট বাজারের সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে আনন্দবাজার সড়কে পানি জমে কদমাক্ত হয়ে আছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়ক ও অফিস চত্বরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্ত সড়ক দিয়ে হাঁটু পানি উপেক্ষা করে চলাচল করছে মানুষ। এছাড়াও শহর ও গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারের অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষগুলো। অন্যদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় তিস্তা নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে।
রাজারহাট বাজারের অটোরিক্সা চালক রবিউল ইসলাম বলেন, ৩/৪দিন ধরে প্রচন্ড বৃষ্টি। ঘরে থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় যাত্রী নেই,বৃষ্টিতে রিকশা চালানো যাচ্ছে না। সকাল থেকে বসে আছি রাস্তায় তেমন কোন মানুষের দেখা নেই।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, শনিবার(৫অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ঘন্টায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, টানা বৃিিষ্টপাতের কারনে জেলার তিস্তানদী সহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।