ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ
ফিটনেসহীন বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেদারসে চলাচল করতে দেখা যায়। বিভিন্ন অলি-গলি ও সড়কে তো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ছড়াছড়ি। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে।
ফলে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ফিটনেসহীন সব বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে ঢাকাতে যেনো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।-খবর তোলপাড় ।
বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ওবায়দুল কাদের এসব নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেনো ঢাকা সিটিতে না চলে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দেন, আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চালাতে যেনো না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজধানীতে ফিটনেসহীন গাড়ির বিষয়ে নিজের ক্ষোভ করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহন চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্বল এলাকাগুলোতে উন্নতমানের গণপরিবহন চলে।
‘এই ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না,’ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু রেজাল্ট কী? সড়কের দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।
এদিকে দেশের বাইক চালকদের আবারো সতর্ক করে দিয়ে হেলমেট না থাকলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল।’
দেশের সব জায়গায় এমনকি মফস্বলেও এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী মনে করছেন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন আইনে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন দেখা যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।