বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের ফলাফল জলঢাকা শিমুলবাড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ৩ জন, ভারপ্রাপ্ত-২, ছাত্র-অভিভাবক উদ্বিগ্ন ইরানকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছে চীন ভার্চ্যুয়ালি শ্যোন অ্যারেস্ট: নীলফামারীর চার মামলায় গ্রেপ্তার আসাদুজ্জামান নূর নতুন দল পেল সাকিব আল হাসান জুলাই বিপ্লব: রংপুরের প্রিয় সহ জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ৩৯%, জামায়াত ২১%, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে মনে করে তরুণরা বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করলো ট্রাম্প টিকটকে পরিচয়-ইমোতে ভিডিও কল, ব্ল্যাকমেইল করে নারীর ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো যুবক কুড়িগ্রামে আমার জীবন আমার স্বপ্ন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
শুভেচ্ছা বার্তা:
আলোকিত রাজারহাট একটি বহুল প্রচারিত প্রিন্ট পত্রিকা। এটি নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকাটির পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। আলোকিত রাজারহাট এর ওয়েবসাইট কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের মাঝে উন্মুক্ত হবে। আপনি গর্বিত সাইটটির সঙ্গে থেকে নিয়মিত খবর দেখুন ও পড়ুন। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। ধন্যবাদ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির আইনজীবী শিশিরকে হৃদয়স্পর্শী চিঠি

রিপোর্টারের নাম / ৬০ টাইম ভিউ
Update : শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি বিশিষ্ট হৃদয়স্পর্শী একটি চিঠি লিখেছেন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) চিঠিটি একটি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।-খবর তোলপাড়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আমি একজন অসহায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত মাদক (কোকেন) মামলায় আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আমি ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট থেকেই খুলনা জেলা কারাগারে আছি।

চিঠিতে আপনার বরাবর আমার স্ত্রীর মাধ্যমে পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো, আমার এই মামলায় আমার ডিফেন্স কেস সুস্পষ্টভাবে নির্দোষ প্রমাণ করা সত্ত্বেও বিজ্ঞ বিচারক মামলার সাক্ষী, জেরা, জবানবন্দি সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করে আমাকে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। মামলায় আমার কোনো ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই। আমার নামে আগে-পরে কোনো মাদক সংক্রান্ত মামলা নেই। আমি অত্যন্ত গরিব বিধায় যারা এই মামলায় জড়িত তাদের আসামি না করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য যে বিজ্ঞ বিচারক সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন।

আইনজীবীর কাছে পাঠানো চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘আপনার কাছে আমার দৃঢ় আর্তনাদ আমার ডেথ রেফারেন্স মামলাটি উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) নিজেই শুনানি করতে চাই এবং সেই বিষয় কোনো আইনগত সুযোগ আছে কি না? আপনার কাছে জানার দৃঢ়ভাবে আর্তনাদ রইল।

চিঠিতে বলা হয়, আমার মামলার নথি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে কোনো সচেতন বিচারক আমাকে দণ্ড দিতে পারবেন না। আর একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া মানে শুধু ওই ব্যক্তিকে নয়, তার পুরো পরিবারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া। উচ্চ আদালতের প্রতি আমার জোর আকুতি থাকবে, আমাকে শুধু তিন দিন শুনানি করার সুযোগ দেওয়া হলে নিম্ন আদালত যে বিচার করেছেন তা আমি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে নিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেব। আর আমি যদি নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হই তাহলে উচ্চ আদালতের কাছ থেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অনুমতি চেয়ে নেব। কারণ, বিনা দোষে জেল খাটার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চিঠিতে আরও লেখেন, আমার মতো অসহায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামির আর্তনাদ কেউ শুনতে চায় না। আমার এই আর্তনাদের কথা মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের অনেক বিচারপতিকে বরাবর আমার স্ত্রীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছি। এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড চেয়ারম্যান বরাবর এই আর্তনাদ জানিয়েছি কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।

খুলনা জেলা কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি বিকাশ বিশ্বাসের লেখা চিঠির বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘চিঠিটি পড়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে যাই। চিঠিটি যুক্ত করেই হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর