এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ‘সুগার ড্যাডি’ ভারতে

সুগার ড্যাডি হলো এমন একজন বয়স্ক পুরুষ, যিনি নগদ অর্থ, দামি উপহার বা সম্পদের বিনিময়ে তার চেয়ে বয়সে ঢের ছোট কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করেন। হতে পারে সেই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তান আছে, ডিভোর্স হয়ে গেছে, বিপত্মীক অথবা এসবের কিছুই নন। এখানে বয়সের পরিপক্বতা ও অর্থনৈতিক স্ট্যাটাসের কারণে ধনী ব্যক্তিটি সম্পর্কে প্রভাব বিস্তার করেন বেশি।
অন্যদিকে ‘মমি’ ট্রেন্ড এর উল্টো। কম বয়সী তরুণেরা তাদের চেয়ে ঢের বেশি বয়সের নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। এই নারীরা হয়তো বিবাহিত, ডিভোর্সি অথবা বিধবা অথবা এসবের কিছুই নন, কেবল বয়সে প্রেমিকের চেয়ে ঢের বড়। এই প্রেমিকেরা তাদের ‘মমি’ প্রেমিকাদের মধ্যে আবেগ বিষয়ে পরিপক্বতা, মায়ের স্নেহ, শাসন খোঁজেন। পরামর্শ ও আবেগময় সমর্থন চান। এটাকে বলে ‘মমি ইস্যুজ’। এখানেও বয়স্ক নারীরাই সম্পর্কে প্রভাব ফেলেন বেশি।
সুগার ড্যাডি ও মমি ইস্যুজ—দুটো টার্মের সঙ্গেই গভীরভাবে জড়িয়ে আছে যৌনতা।-খবর তোলপাড়।
সম্প্রতি কোন দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা কত, তা প্রকাশ করেছে স্ট্যাটিস্টা এশিয়া। এই জরিপে বয়স্ক পুরুষেরা পরিচয় গোপন রেখে নিজেদের সুগার ড্যাডি হিসেবে মেনে নিয়ে স্ট্যাটিস্টাকে তথ্য দিয়েছেন। তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। ভারতে সুগার ড্যাডির সংখ্যা কমপক্ষে ৩ লাখ ৩৮ হাজার। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে তালিকাভুক্ত সুগার ড্যাডির সংখ্যা ৬০ হাজার ২৫০। 338K
৩২ হাজার ৫০০ সুগার ড্যাডি নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে মালয়েশিয়া ও জাপান। ২৮ হাজার ৩০০ সংখ্যা নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে হংকং। পঞ্চম স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। সেখানে সুগার ড্যাডির সংখ্যা ২৭ হাজার ৩০০। ভিয়েতনাম ১২ হাজার সুগার ড্যাডি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ৮ হাজার সংখ্যা নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। শ্রীলঙ্কা ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে নবম ও দশম স্থানে। দেশ দুটিতে সুগার ড্যাডির সংখ্যা ৫ হাজার ও সাড়ে ৩ হাজার।