‘গাজা যুদ্ধ’ নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ পুরস্কার জিতল


ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে এবার তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গাজায় ইসরাইলি হামলায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে নির্মিত ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। সিনেমাটি সিলভার লায়ন পুরস্কার জিতেছে। খবর আল জাজিরার।
শনিবার ফরাসি-তিউনিসিয়ান পরিচালক কাউথার বেন হানিয়া নির্মিত ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ সিনেমাটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।-খবর তোলপাড়।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গাজায় পরিবারসহ গাড়িতে করে গাজা সিটি থেকে পালাতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয় ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজব। হিন্দের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তার চার চাচাতো ভাইবোন ও খালা-খালু। পরে সবাই নিহত হন। সেই ঘটনা অবলম্বনে ফরাসি-তিউনিসীয় নির্মাতা কাওথের বেন হানিয়া বানিয়েছেন ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ সিনেমা।
হামলার সময় প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে করা রজবের ঘন্টাব্যাপী ফোনকলের আসল অডিও ব্যবহার করা হয়েছেি এই সিনেমায়। ইসরাইলের হামলায় গাড়িতে আটকা পড়েছিল ছোট্ট রজব। ফোনকলে উদ্ধারকারীরা তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। হামলায় তার খালা, চাচা ও তিন চাচাতো ভাইবোন মারা যায়।
এরপর রজবও মারা যায়। সেইসঙ্গে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয় তাকে উদ্ধার করতে যাওয়া দুই অ্যাম্বুলেন্স কর্মীও।
বুধবার ভেনিসে প্রিমিয়ারের পর ছবিটি রেকর্ড ২৩ মিনিট ধরে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পায়। এই ছবিটি ছিল এবারের উৎসবে সবচেয়ে আলোচিত।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা বেন হানিয়া তার পুরষ্কার গ্রহণ করে বলেন, ‘এটি কেবল রজবের গল্প নয়, বরং দুঃখজনকভাবে গাজায় গণহত্যা সহ্য করা সকলের গল্প।’
তিনি আরো বলেন, ‘সিনেমা হিন্দকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না, এমনকি তার বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতাও মুছে ফেলতে পারে না। যা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তা কিছুই পুনরুদ্ধার হবে না। তবে সিনেমা তার কণ্ঠস্বর সংরক্ষণ করতে পারে। সীমান্ত পেরিয়ে তার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়তে পারে সবখানে।’
পরিচালক আরো বলেন, ‘যতক্ষণ না জবাবদিহিতা নিশ্চিত, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে।’
গাজার ইসরাইলের হামলায় ১৮ হাজারের বেশি শিশুসহ ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।