সেনানিবাসে কারাগার! চিফ প্রসিকিউটর যে ব্যাখ্যা দিলো


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সোমবার বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, “আসামি কোথায় থাকবে তা বলার একমাত্র এখতিয়ার আদালতের। আদালত সাব জেলে রাখবে, নাকি বিশেষ জেলে রাখবে, নাকি সাময়িক করাগারে, নাকি সাধারণ কারাগারে রাখবে- তা একমাত্র আদালতের এখতিয়ার। তার আগে কারও কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।”-খবর তোলপাড়।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “কোনো নির্দিষ্ট জায়গাকে সাব জেল (অস্থায়ী কারাগার) ঘোষণা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। কোন জায়গাটাকে জেল ঘোষণা করবে বা প্রিজন অথরিটির আওতায় নিয়ে আসবে, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। এখানে আমাদের কনসার্ন হওয়ার কোনো বিষয় নয়। আমাদের বক্তব্য হলো, যখন কোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে, তখন এই পরোয়ানাটাকে তামিল করা হবে। অর্থাৎ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন পরোয়ানাটা তামিল করবে, কাউকে গ্রেপ্তার করবে, তখন সরাসরি কাউকে জেলে নেওয়ার কোনো বিধান নেই।”
‘আসামিকে আদালতে আনার পর আদালত যদি (ফার্দার অর্ডার) আদেশ দিয়ে বলেন, তাকে কারাগারে পাঠানো হোক, তখন কেন্দ্রীয় কারাগার বা জাতীয় সংসদ ভবনের মধ্যে, এমপি হোস্টেল হতে পারে, অথবা অন্য কোনো জায়গাকে যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করে সেই জায়গায় পাঠানো যেতে পারে। ফলে সেটা কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। কোনও জায়গাকে কারাগার ঘোষণা করা হচ্ছে সেটা আমাদের প্রসিকিউসন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো, আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে’-যোগ করেন তিনি।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করেছে সরকার।