নতুন ধারাবাহিক ‘জেনারেশন জেড’
জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে নানা রকম রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশে এসেছে নতুন সরকার। বিদায় করা হয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এই আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী। তারা বন্ধুকের গুলির ভয় না করে বুক পেতে দিয়েছে নলের সামনে। এই সাহসী জেনারেশনের নাম জেড। বিগত সরকার কিংবা আলোচিত ঘটনা নিয়ে নাটক, সিনেমা তৈরির কথা ভাবছেন নির্মাতারা। তারই সূত্র ধরে aএবার জানা গেল জেনারেশন জেড নিয়ে তৈরি হবে নাটক।
১৫ বছর সরকারে থাকা স্বৈরাচারের পতনে নেতৃত্ব দিয়েছে জেড প্রজন্ম। যা ছিল স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী গণআন্দোলন। শহীদ হতে হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে।-খবর তোলপাড়।
তাদের এই আত্মত্যাগের বিষয়গুলো মাথায় রেখে একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘জেন জেড আমি কে? তুমি কে?’
এটি রচনা করেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ধারাবাহিকটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। এটি মূলত পলিটিক্যাল স্যাটায়ারধর্মী ধারাবাহিক।
একটি পরিবার যদি একটা দেশ হয়। আর এ পরিবারকে কেন্দ্র করে হাসি, আনন্দ, ভালেবাসা ও টানাপড়েনের সঙ্গে পলিটিক্যাল স্যাটায়ারের মিশ্রণে ধারাবাহিকটির গল্প এগিয়ে যাবে।
আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, মজার মজার স্যাটায়ারের মাধ্যমে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থার চিত্র দেখানো হবে এ নাটকটিতে। উঠে আসবে জেনারেশনের সঙ্গে জেনারেশনের ভাবনা ও মতের পার্থক্য। পরিবারের বাবার স্বৈরাচারী মনোভাবের দেয়াল ভাঙবে আমাদের জেন জেডরা।
এ দেয়াল ভাঙা ও অচলায়তন থেকে পুরো পরিবারকে নতুন প্রজন্ম কীভাবে বের করে আনে, এ বিষয়গুলো এ ধারাবাহিকে উঠে আসবে। সুতরাং হাস্যরসের মাধ্যমে গুরত্বপূর্ণ বার্তা দেবে এ ধারাবাহিক। এটি ভিন্নধর্মী একটি ধারাবাহিক হবে-এ আশা করাই যায়।