উলিপুরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

আব্দুল মালেক :
হাতির পিঠে বসা এক যুবক। হাতি এ দোকান থেকে ও দোকান ঘুরছে। আর হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির কাছে। যতক্ষণ র্পযন্ত হাতির শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা র্পযন্ত নেওয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও উঠানো হচ্ছে টাকা।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে এ অভিনব কায়দায় দুই চার মাস পর পর টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দেখা গেছে, বাকরের হাট বাজারে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে।
চাঁদাবাজির এ দৌড়াত্ম থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দেয়। তখন দোকানদার ও গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নুর আলম। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে হাতি দিয়ে চাাঁদাবাজি করতে আসে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর।
অটোরিকশাচালক রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় মাঝে মাঝে হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে দেই।
হাতির পিঠে বসা যুবকের কাছে নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, বাড়ি লালমনিরহাট। কুড়িগ্রামে সার্কাস চলছিল এখন বন্ধ। এজন্য বের হয়েছি, টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াব কি।
উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে এরপর যদি আবারও কোনোদিন আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।