বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জাকির মোল্লা (৪৮) নামে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর শাহাপুর গ্রামে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাকির মোল্লা শাহাপুর গ্রামের আরব আলীর ছেলে। পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের ১৩টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানান, একই এলাকার আবু মন্ডলের কিছু কৃষি জমি জবর দখল করে রাখার অভিযোগ ছিল জাকির মোল্লার বিরুদ্ধে। আবু মন্ডল অনেক দেন দরবার করেও ওই জমি দখলমুক্ত করতে পারেননি। এবার ওই জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন জাকির মোল্লা। মঙ্গলবার সকালে জাকির মোল্লা ওই ক্ষেতে গেলে আবু মন্ডলের লোকজন তার ওপর হামলা চালান। এ সময় প্রতিপক্ষ ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাকে উপর্যপুরি কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জাকির। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাকির মন্ডলের লোকজন প্রতিপক্ষের চারটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং নানা অপকর্মের প্রতিশোধ নিতেই প্রতিপক্ষের লোকজন জাকির মোল্লাকে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সে কারণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৌলতপুরে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে গলা কেটে হত্যা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে নুর সালাম (৩০) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সে একই এলাকার শুকুর মন্ডলের ছেলে।
প্রতিবন্ধী নুর সালামকে কে বা কারা গলা কেটে গুরুতর আহত করে সোনাইকুন্ডি উত্তরপাড়া জামিয়াতুল মাদ্রাসার পাশের রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সোমবার ভোররাতে সে মারা যান।
হত্যার ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, প্রতিবন্ধী নুর সালামকে গলা কেটে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হলে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।