রংপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু, সংঘর্ষ-গুলি, ২ কারারক্ষী বরখাস্ত
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাহারুর বাদশা নামে এক কয়েদীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল আটটার দিকে কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগারে যান। সেখানে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষুব্ধ কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
তবে এ ঘটনায় শাহজাহান ও মোতালেব নামের দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কারাগারের ভেতরের গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’জন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহারুল ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জের বাহাদুর মিয়ার ছেলে কয়েদি বাহারুল। আজ সকালে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দিদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কারাগারের ভেতরে বিক্ষুব্ধরা বিক্ষোভ শুরু করলে কারাপুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এসময় মানুষজন ছুটোছুটি করছিল। সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
সকাল থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রংপুর কারাগারের ভেতরে এবং বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তাসহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন তারা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। -সম্পাদনায় রংপুর বার্তা সম্পাদক।