ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

সংবাদদাতা, ইবি:
নারী কর্মচারীকে বিভিন্ন ধরণের কু প্রস্তাব প্রদান ও তার মেয়েদের সাথে অবৈধ মেলামেশার প্রস্থাবসহ বিভিন্ন ধরণের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি হলটির প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ২০১৪ সাল থেকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আয়া পদে কাজ করেন। তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে হলে থাকেন। সেই সুযোগে হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুর রাজ্জাক তাকে বিভিন্ন ধরণের কুপ্রস্তাবসহ তার মেয়েদের সাথে অবৈধ মেলামেশার জন্য তার বাড়িতে আসার প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাজ্জাক তাকে কাজ থেকে বের করে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় স্টাফদের কথা কথায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, ২০২১ সালে হলে ভুক্তভোগীর ছোট মেয়েকে একা পেয়ে রাজ্জাক তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন বাসনা পূরণ করার চেষ্টা করে। ছোট মেয়ে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে রোজিনাকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু সহকারী রেজিষ্ট্রার রাজ্জাক প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভয়ে কোন প্রতিবাদ না করে বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে তিনি মেয়েদের নিয়ে কুষ্টিয়ায় বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে গত ১১ ডিসেম্বর দুপুরে তিনি হলে কাজ করার সময় রাজ্জাক পূর্বের ন্যায় পুনরায় সুযোগ পেয়ে তার সাথে অবৈধ মেলামেশা করার কু প্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানি করে। পরে তিনি কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
হলের আবাসিক ছাত্রী সুপ্রিয়া কুন্ডু বলেন, আমাদের হলে রাজ্জাক এক ধরনের ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। হলে সিট থেকেও যোগ্য ছাত্রীদের দেয় না। সেসব সিটে অবৈধভাবে পছন্দের ছাত্রীদের তোলে। তাছাড়া তার নামে প্রভোস্টের কাছে বিচার দিলেও কিছু হয় না। হলের বিষয়ে রাজ্জাক যা বলে তাই হয়। হলের মহিলা কর্মচারীরাও বিভিন্ন সময় আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়। কান্নাকাটি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি একসময় জাসদ ছাত্রলীগ করতাম। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কেউ এটা করে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট শামসুল হক সিদ্দিকী বলেন, আমি গতকাল লাস্ট আওয়ারে অভিযোগটা পেয়েছি৷ এজন্য বিষয়টি নিয়ে কোনো কাজ করার সুযোগ পাইনি৷ আমরা হল বডি বসে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিব। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি করা হবে।